নিয়ম-শৃঙ্খলা
১. প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ক্লাস আরম্ভ হওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে।
২. প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পোশাক পরে প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে। এর ব্যতিক্রম কোন ভাবেই করা যাবে না।
৩. শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম লিখার জন্যে ডায়েরি সংগ্রহ করতে হবে এবং প্রতিদিনের শ্রেণি কার্যক্রম ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
৪. শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের সমাবেশে অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে এবং সমাবেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
৫. শিক্ষার্থীদের সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
৬. প্রত্যেক পিরিয়ডে শ্রেণি শিক্ষক/বিষয় শিক্ষক, কক্ষ ত্যাগ করলে শিক্ষার্থীরা আসন ছেড়ে বাইরে যাবে না এবং গোলযোগ করবে না।
৭. প্রত্যেকের সাথে সদ্ভাব বজায় রেখে চলবে। বড়দের সম্মান করবে এবং ছোটদের স্নেহ করবে। সকলকে ভালো কাজে উৎসাহিত করবে এবং খারাপ কাজে বাধা দিবে। কখনও বড়দের সাথে বেয়াদবি এবং ছোটদের সাথে কটুক্তি করবে না।
৮. শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রতিদিনের পাঠ শিখে প্রতিষ্ঠানে আসবে। কোনক্রমেই বাড়ির কাজ প্রতিষ্ঠানে করতে পারবে না। সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে এবং প্রত্যেক পিরিয়ডের পড়া ঠিকমত সম্পন্ন করার জন্যে খাতা, কলম ও বই নিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসবে।
৯. শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রতিষ্ঠানের অঙ্গণ এবং নিজেদের শ্রেণি কক্ষ নিজেরাই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে।
১০. পরীক্ষার সময় কলম, পেন্সিল অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সঙ্গে আনবে। কোনক্রমেই পরীক্ষার কক্ষে অন্যের নিকট কিছু চাওয়া যাবে না। সঙ্গে স্কুল বা কলেজ ব্যাগ আনা যাবে না।
১১. শিক্ষার্থীবৃন্দ পরীক্ষার খাতা হাতে পাওয়ার ০২ দিনের মধ্যে অভিভাবকদের দেখিয়ে তাদের স্বাক্ষর নিয়ে বিষয় শিক্ষকের নিকট জমা দিবে। অর্ধবার্ষিক/প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার পাঠোন্নতি বিবরণী হাতে পাওয়ার ০৭ দিনের মধ্যে অভিভাবকদের স্বাক্ষর নিয়ে শ্রেণি শিক্ষকের নিকট জমা দিবে।
১২. সকল শিক্ষার্থীকে নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে। অসুস্থতার কারণে ০৩ (তিন) দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট এবং অভিভাবকের সুপারিশসহ দরখাস্ত করতে হবে।
১৩. যদি কেউ বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকে তা হলে ঐ দিনের জরিমানা নার্সারি থেকে ৭ম শ্রেণি ২০ টাকা, ৮ম শ্রেণি ৫০ টাকা ও ৯ম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি ১০০ টাকা পরদিন অফিসে পরিশোধ করে রশিদ শ্রেণিশিক্ষকের নিকট জমা দিতে হবে। পর পর ০৬ দিন অনুপস্থিত থাকলে হাজিরা খাতা থেকে নাম কাটা যাবে এবং পুনরায় ভর্তি ফি দিয়ে হাজিরা খাতায় নাম উঠাতে হবে।
১৪. শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে আসার পর ছুটি নেওয়া যাবে না। জরুরী কোন কারণে ছুটির প্রয়োজন হলে অভিভাবকদের নিজ হাতে লেখা দরখাস্ত আনতে হবে। প্রতিষ্ঠানে এসে অসুস্থ হলে অভিভাবকে এসে নিয়ে যেতে হবে।
১৫. প্রতিটি বিষয়ে/পত্রে নির্দিষ্ট সময়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ধারবাহিক মূল্যায়নে অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে।
১৬. স্টিলের স্কেল ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই কলেজ ক্যাম্পাসে স্টিলের স্কেল আনা যাবে না।
১৭. কোন ক্রমেই মোবাইল ফোন নিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসা যাবে না। যদি ধরা পড়ে তাহলে মোবাইল ফোন জব্দ করা হবে এবং ফেরত দেয়া হবে না।
১৮.কোনো শিক্ষার্থী যদি প্রতিষ্ঠানের ভিতরে বা বাইরে মারামারি করে তাহলে প্রথমে সতর্কীকরণ করা হবে। তারপরও যদি পুনরায় মারামারি করে তাহলে তাকে টিসি দিয়ে বের করে দেয়া হবে।
১৯. ছেলেদের চুল আর্মিকাট হতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ধরণের অজুহাত চলবে না। যদি চুল বড় থাকে তাহলে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকৃত নাপিত দিয়ে চুল ছোট করে দেয়া হবে।
২০. যারা ক্লাসে অতিরিক্ত কথা বলে বা ক্লাসের পাঠদান কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, শ্রেণি শিক্ষক তাদের তালিকা তৈরি করে শৃঙ্খলা কমিটির আহবায়কের নিকট জমা দিবে। শৃঙ্খলা কমিটি তাদের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরণের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে এবং তারা তা মেনে নিতে বাধ্য থাকবে।
২১. কোনো শিক্ষার্থী যদি ড্রেস পরিহিত অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে ঘুরাফেরা করে এবং কোনো শিক্ষকের নজরে আসে তা হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২২. মেয়েদের ক্ষেত্রে হাতে মেহেদি, নেলপালিশ, লিপিষ্টিক পরা যাবে না। প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত স্কার্ফ পরে আসতে হবে। ছেলেদের ক্ষেত্রে হাতে ঘড়ি ছাড়া অন্য কোনো কিছু ব্যবহার করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের নখ বড় রাখা যাবে না।
২৩. প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীকে ঐ মাসের বেতন পরিশোধ করতে হবে।
২৪. উল্লেখিত আদেশ, নির্দেশ ও উপদেশগুলো যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।